২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা, নেপথ্যে অধিপত্য
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ও কলেজ ছাত্র আজহারুল ইসলামে শান্ত’র খুনিরা এখনও অধরা। হত্যাকান্ডের দু’দিন পেরিয়ে গেলেও কোন আসামিকে ধরতে পারেনি পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেলে শহরের উপকন্ঠে চক ফরিদ এলাকায় শান্তকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এ হত্যকান্ডের ঘটনায় নিহত শান্তর মা রাবেয়া খাতুন বাদি হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মোট ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুর্ব শত্রুতার জের ধরে তার ছেলেকে দুর্বত্তরা হত্যা করেছে বলে মামলায় তিনি উল্লেখ করেন।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শহরের বনানী ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জের ধরেই শান্তকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া হত্যাকান্ডের নেপেথ্যে ইন্টারনেট ব্যবসা ও আর্থিক লেনদেনের বিষয় আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বগুড়া সদর থানার ওসি মো: সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, খুনিদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। ওসি আরও বলেন, ঘটনাস্থলের আশেপাশে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজ দেখে আসামিদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
নিহত আজাহারুল ইসলাম শান্ত (২৪) সারিয়াকান্দি উপজেলার কুপতলা শাহপাড়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। আবুল হোসেন ভিটিটিআইয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তিনি ফুলদিঘী পূর্বপাড়ায় পরিবারের সাথে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। শান্ত ইন্টারনেট লাইনের ব্যবসার পাশাপাশি গাবতলী উপজেলার সৈয়দ আহম্মেদ কলেজে লেখাপড়ার করতো। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে চক ফরিদ কলোনীতে শান্তর ওপরে হামলা চালানো হয়।
চক ফরিদে এলাকায় প্রকাশ্যে শান্তকে উপর্যুপরীভাবে ছুিরকাঘাত করে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানিয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শান্ত এবং তার বন্ধু ইমরান মিলে ইন্টারনেটের ব্যবসা করতো। বিকালে ইন্টারনেটের কাজ করার জন্য বাসায় থেকে বের হয় শান্ত। সে ফোনে জানায় কিছুক্ষণ পরেই বাসায় ফিরবে। কিন্তু পরে তাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।